জে.এস. মাহমুদুল খানের কবিতা সমূহ।



নাম জে. এস. মাহমুদুল খান ১৯৯৯ সালের ১লা জানুয়ারিতে টাংগাইল জেলার সখিপুর থানাধীন দাড়িয়াপুর গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।বাবার নাম মোঃ ফজলুল করিম, মাতা নুরজাহান বেগম। দুই ভাই বোনের মাঝে তিনি ছোট ছেলে। শিক্ষা জীবন শুরু হয় গ্রামের  ইস্কুল থেকে।পরে তিনি গাজীপুর,কালিয়াকৈর এর আনসার একাডেমী থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন।বর্তমানে তিনি  টাংগাইল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ইলেকট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টে অধ্যয়ন করছেন। ইতিমধ্যে তিনি অনলাইন সাহিত্য পএিকায় বেশ কয়েক বার সাপ্তাহিক সেরা কবির সম্মাননাতো পেয়েছেন। তার লেখার মাঝে ফুটে ওঠে প্রেম, বিরহ, রাগ-অনুরাগ,দেশ প্রেম ইত্যাদি। ইতি মধ্যে তিনি মানুষের মাঝে একজন প্রিয় লেখক হয়ে ওঠেছেন।তার সব গুলি লেখাতেই বাস্তবতার  ছোঁয়া রয়েছে। অল্পদিনে তিনি মানুষের মন জয় করেছেন।


Click & Watch This Video 

তার কবিতা সমূহঃ

যৌবনের বসন্ত
জে এস মাহমুদুল খান

যৌবনের উত্তাল ঢেউয়ে 
তুমি যে সাগরে নেমেছিলে
তুমি কী তার গবীরতা জানো 
তুমি তো দেখে ছিলে শুধু সাগরের ভিশালতা
দেখতে পাওনী তার ভাঙ্গনের খেলা,
কী ভাবে দেখবে?
তখন তো তোমার তরী ভাসছিলো 
পালতোলা নৌকার মতো,
আজ বুঝি ভাটা পরেছে?
চার দিকে শুধু মরুর শহর
হা হা করে চিৎকার করছে
তোমার যৌবনের সেই সতেজ গাছটা ।
আর হবে না সেই মিলন মেলা
যে খানে হারিয়ে ছো তোমার যৌবনের খেলা,
সময় থাকতে নাও ভাবিয়া এ জীবনটা কার লাগিয়া
প্রভু করিলা সৃজন ভাবো ওরে মন
জীবন সন্ধিক্ষনে কি জবাব দিবে তখন l

রচনাকাল=০১/০৩/২০১৬

Click This Photo


তুমি যে চৌদিকে থাকো
------------------------
জে এস মাহমুদুল খান
'
এই তো আমি,
তোমা হতে দূরে নই কোনো ।
ছুঁয়ে দেখো-- কোমল আঙুল !
বসো পাশে--
সুঘ্রাণ এখনো তেমনি তীব্র হয়ে আছে ।
'
বসো এইখানে, যেমনি আগেও বসিতে ;
অগ্ন্যুৎলাভাময় নই,
ঝর্ণার পতিত-প্রবাহ--
তোমার দিকেই ধাবিত সুনিবিড় !
'
তাকাও,
মেলো দু'টি আঁখি ;
দ্যাখো-- স্মৃতির হাসির আভাস,
কেমন আমন্ত্রন-বিলাসে ঘন হয়ে আছে ।
'
কত পথ হেঁটে,
কত ক্লান্তি মেখে গায়ে--
এসেছি প্রগাঢ়-তোমার কাছে ;
যে তুমি,
দুপুর-রোদের নিঃশ্বাসের মতোই
বৃক্ষের ঘনছায়া হয়ে,
বসে আছো চৌদিকে আমার ।
'
রচনাকাল=১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

#Subscribe YouTube Channel 

,,,,,,,,,,,অবনি,,,,,,
জে এস মাহমুদুল খান

অবনি,
সময়টা অন্ধকারে নিমজ্জিত।
বাস্তবতার রোষানলে মৃত্যু হয় কত শত আকুতির!
নিজ হাতে স্বপ্ন কুড়িয়ে, 
একটা একটা করে ফেলে দিতে হয় পায়ের পৃষ্ঠতলে।

কাঁচের দেওয়াল ভাঙ্গতে তবে কেন এত সংশয়?
এই পথ তোমার নয়... 
এই কথাটা মানতেই কেটে গেলো এতটা বছর! 
এ পথে পাবেনা আশ্রয়, 
প্রতিনিয়তই কুঁড়ে খাবে যন্ত্রণার বাণ। 
নিঃশেষ হবে, তবুও মিলবেনা মুক্তি।

বিশ্বব্রহ্মান্ডে নিজের পথ নিজেকেই তৈরি করে নিতে হয়। 
কারন অন্ধকারে নিজের ছায়াটুকুর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া দুষ্কর! 
তাই আলোকবর্তিকায় আলোকবর্ষ তোমাকেই প্রোজ্জ্বলন করতে হবে প্রতিজ্ঞায়।

নিজ আবাসনে নির্বাসিত মন, 
পিছুটান থাকতে নেই! 
থাকতে নেই ফেরার তাড়া। 
জানি তুমি সব বোঝো, 
কিন্তু মানতে পারোনা...
তবুও জীবননগরে পাড়ি দিতে হবে অজস্র পথ। 
এটাই তোমার জীবনের দৃপ্তকণ্ঠের শপথ। 
অনেক গঞ্জনা সহ্য করে যেতে হবে বহুদূর।

শঙ্কিত চোখ মুখে হয়তো পাবেনা কিছুই, 
তবে কি আজন্ম শত্রুর প্রতিহিংসার তুচ্ছরূপ হজম করবে??

___না এক বিন্দুও নাহ্! 
আমার শিরা উপশিরায় ঘৃণ্যতা বোধের রক্ত বইছে... 
আমি শিখিনি হারতে।।

অবনি! 
তাহলে চলুক এই অন্তযাত্রা, 
তুমি পারবেই।
কে কি ভাবলো/ভাববে সেই ভাবনা তোমার না ভাবাই শ্রেয়। 
পরিতাপের আহাজারি নিন্দুকেরা করবে, 
সেদিন বিস্মৃত নাইবা হলে। 
কেননা যা ভুল তা দেরিতে হলেও মানুষ বোঝে। 
তুমি কি পরিপূর্ণ নও? 
দেখতে পাওনা কয়টা প্রিয় মুখের আশিস, 
প্রেরণা আজ চলার পাথেয়।

তমসাচ্ছন্ন কাটতে, হতে হবে কঠিন।
হৃদয়ের রক্তক্ষরণে অর্জয়িতা অধ্যায় হবে। 
একদিন সব অন্ধকারময় কালো উগরে গিয়ে আসবে নয়নজুড়ে ধ্রুব আলো! 
আলোয় আলোকিত। 
সেই আলোয় তোমার ছায়া দৃশ্যমান হবে, 
করবে অস্তিত্ব উপলব্ধি। 
তাইতো সিদ্ধান্তে গড়তে হবে নিজে নিজেকেই।

রচনাকাল=১১/০৫/২০১৭


অপেক্ষার প্রহর
জে এস মাহমুদুল খান

আমি নির্বাক চলচিত্র হয়ে
তাকিয়ে আছি তোমার অপেক্ষায়।
তুমি আসবে বলে,
আজো তাকিয়ে থাকি তোমার পথ পানে।
চেয়ে থাকতে থাকতে দুচোখ ঝাঁপসা হয়ে গেছে। 
ঐ দূর পথ চেয়ে বসে থাকি তুমি আসবে বলে,
তুমি হয়তো কাছে আসার পথ ভুলে গেছ,
তবু আমি চেয়ে থাকি কিছু স্বপ্ন বুঁকে চেপে।
দুচোখ এখন নিথর হয়ে পরেছে,
তোমার আশায় থাকতে থাকতে,
তবু তুমি পা বাড়াও নি,
আমার কাছে আসার পথে।
এই অপেক্ষার প্রহর হয়তো শেষ হবে আমার সমাধি তলে।

রচনাকাল=২০/০৫/২০১৮

Click This Photo

'''''''''পায়েল'''''''
জে এস মাহমুদুল খান

তুমি দেখেছ পায়েল,
আর, আমি দেখেছি শেকল।
তুমি শুনছো ছমছম,
আর, আমি শুনেছি সব শেষ।

তুমি ভাবছ, পায়ে পায়ে তোমার কাছে আসা।
আমি দেখেছি, প্রতিটি পায়ে বহুদূরে যাওয়া।

তুমি ভেবে যাচ্ছ,
তালে তালে তোমার জীবন সাজানো।
আমি ভাবছি,
ছলে কৌশলে তোমার নিজেকে হারানো।

তুমি ভাবছ বন্ধন।
আমি ভাবছি জোর করে বেঁধে রাখা।
পরক্ষনে, অনেক ক্রন্দন।

যেখানে আমায় ঘিরে তোমার স্বর্গবাস,
সেখানে আমি শুধু দেখি তোমার সর্বনাশ।
ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা।
ভেবেছ, ভেবেছ আসলেই কি সেটা ভালোলাগা?

ভাবছ, আমায় ঘিরে তোমার ভালো থাকা।
আসলেই কি সেটা ভালো থাকা?
যেই পায়ের মাঝে তোমার স্বপ্ন গড়া।
সেই পা’ই একদিন করবে তোমায় সর্বহারা।

ভালোবেসে আমায় বানিয়েছ, তোমার নতুন ঠিকানা।
শুধু জানতে না, জানতে না তুমি,
এই ঠিকানা জুড়ে শুধুই দুর্ঘটনা ভরা।

আহারে!! আহারে!! আহারে পাগল!!
তুমি দেখছ পায়েল!!
আর আমি? আমি দেখেছি,
বহুকালের অন্ধকারে বন্ধ এক খাঁচায়
সর্বস্বান্ত হয়ে অনন্তকালের তরে,
আমার দু’পা জুড়ে জীবন নামের শেকল।

তুমি দেখেছ পায়েল,
আর আমি? আমি দেখেছি শেকল।

রচনাকাল=০১/০৬/২০১৭


নারী মানেই যদি শুধু ছলনাময়ী হতো।।
,,, তাহলে প্রত্যেকটা সন্তান তার মা দ্বারা প্রতারিত হতো.........

জে.এস.মাহমুদুল খান

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

হ্যালো......এটা কি দীপার নাম্বার

→ বন্ধুত্ব থেকে জীবনসঙ্গী।। অনেক সুন্দর একটি প্রেম কাহিনী

গল্প- নিরন্তর ভালোবাসা